অগভীর জ্ঞানের কুফল

ভাসা ভাসা জ্ঞান আমাদের সাধারণ প্রবৃত্তি। সাধারণ কোন বিষয়ই তো নয়ই বিশেষ করে বিশেষ বিশেষ কোন বিষয়ে আমরা গভীরভাবে মনোনিবেশ করি না। এটা আমাদের রুচি প্রকৃতির বিরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কোন বিষয়ই গভীরে না গিয়ে ভাসাভাসা করে আত্মস্থ করতে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি। যে বেদকে জানার জন্য যুগযুগান্তর ধরে মানুষ অবিরামভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সে বেদ বিষয়েও মানুষের সে পল্লবগ্রাহিতা প্রবৃত্তির অসদ্ভাব নেই। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, বেদ কি এবং বেদে কি আছে সে সকল বিষয় সকলেই এক কথায় জানতে চায়। কিন্তু বেদ তো এক কথায় জানার বিষয় নয়। তবুও বেদ কি- এক কথায় উত্তর পেলে আমাদের অনেকের চিত্ত যেন শান্তি লাভ করে। তাই উত্তরও অনেক সময় যে যেমনভাবে পারে দিয়ে থাকে অর্থাৎ যার যতটুকু অভিজ্ঞতা তিনি সেরূপ উত্তরই দিয়ে থাকেন। মহাসাগরের গভীরতা নির্ণয় করার জন্য যে ব্যক্তি অর্ধপথ হতে ফিরে আসে; মহাসাগর সম্পর্কে সে যা দেখেছে তার বর্ণনা দিবে। যে সাগরের বেলাভূমের কাছাকাছি গিয়েছে সে সেরকম বর্ণনা দিবে; আবার যে মধ্য সমুদ্রে অবগাহন করেছে সে সেরকম বর্ণনা দিবে। এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হতে বিভিন্ন উত্তরই পাওয়া যাবে। কিন্তু এতে সাগরের সম্পূর্ণরূপ আমাদের কাছে স্পষ্ট হবে না। তারপর সে উত্তর যদি এক কথায় আমরা পাওয়ার আশা করি, তাতে যে স্বরূপ তত্ত্ব কতটুকু প্রকাশ পাবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এ সকল কারণেই এক কথায় বেদের সম্পর্কে বলতে যেয়ে বেদকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বেদকে পরিপূর্ণরূপে জানতে হলে চাই অগাধ জ্ঞান ও ব্যাপক চর্চা। আমরা যারা সনাতন ধর্মে আছি তাদের মধ্যে সে জ্ঞান এবং চর্চার ব্যাপক অভাব। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের মধ্যে অনভ্যাসে বিদ্যা হ্রাস এর মত ভুত চেপে বসেছে। বেদের কথা শুনলেই আমরা আৎকে উঠি। আর যারাও বা কিছু কিছু জানে তাদের মনও কিছু কিছু জ্ঞানী ভুলভাল বুঝিয়ে মস্তিষ্ক অনুর্বর করে দিচ্ছে। সনাতন ধর্মের কিছু কিছু লোক আছে যারা শাস্ত্র সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ, জীবনে বেদ তো দূরের কথা শ্রীমদ্ভগবত গীতাও পাঠ করেনি, আর কিছূ লোক আছে তারা অসচেতন অর্থাৎ ধর্ম সম্পর্কে কিছু কিছু জানে। আর এক প্রকার লোক আছে যারা কুসংস্কার আচ্ছন্ন। যে যা বলে তাই বিশ্বাস করে। এ সকল লোকদের সকাম কর্মের প্রতি আকর্ষণ সবচেয়ে বেশী। ঈশ্বর সচেতন লোকও আছেন যারা শাস্ত্রীয় বিধানমতে ঈশ্বরের উপাসনা করেন।

বেদ সম্পর্কে সামান্য ধারণা

শ্রীমদ্ভগবতগীতার সম্পূর্ণ শ্লোকের অর্থ

বিবিধ


মহাভারতের প্রধান প্রধান চরিত্র