রোহিতস্য তু মৎস্যস্য মাংসৈর্বার্দ্ধীণসস্য চ।
তৃপ্তিং প্রাপ্নোতি বর্ষাণাং শতানি ত্রীণি মৎপ্রিয়া।।১৬।৭৬। কালিকাপুরাণ।
অর্থঃ মা দূর্গা রোহিত মাছে ও বাধ্রীনস মাংসে তিন শত বৎসর তৃপ্তি লাভ করেন।
অনেক পন্ডিতগণ বলে থাকেন- জীবন্ত রোহিত মাছ সংগ্রহ করে বলি দেয়া সম্ভব হয় না বিধায় তৎস্থলে মদগুর (মাগুর মাছ, জিওল মাছ হিসেবে পরিচিত) বলি দেয়া চলে। এটা যদি আমরা সত্য বলে মেনে নিই তাহলে বলিতে প্রতিনিধিও চলে এটা কি মান্য করা যায় না? পুরোহিত যখন পূজায় বসেন তখন সুনির্দিষ্ট উপকরণের পরিবর্তে অমুক অমুক দেয়া চলে বলে মত প্রকাশ করেন এবং আমরা তার মান্যতা দেই। তাহলে যজ্ঞে পশু বলির পরিবর্তে ইক্ষু, কুমড়া বলি দেয়া চলে বলে পুরোহিতগণ কেন আমাদেরকে উদ্বদ্ধু করেন না?
হিংস্র পশু বলি দেয়ার পরিবর্তে তৎস্থলে পিঠার কৃত্রিম পশু গড়ে বলি দেয়ার বিধান আছে-
কৃত্বা ঘৃতময়ং ব্যাঘ্রং নরং সিংহঞ্চ ভৈরব।
অথবা পূপবিকৃতং যবক্ষোদময়ঞ্চ বা।
ঘাতয়েচ্চন্দ্রহাসেন তেন মন্ত্রেণ সংস্কৃতং।। (কালিকা পুরাণ ৬৭ অধ্যায়)
অর্থঃ ঘৃতের পিষ্টকের কিংবা যবচূর্ণনির্মিত ব্যাঘ্র, মানুষ ও সিংহ মূর্তি গড়ে সে মন্ত্রে সংস্কৃত করতঃ চন্দ্রহাস খড়গ দ্বারা ছেদন করবে।
ব্রহ্মবৈবর্ত্ত-প্রকৃতি ৬৪ অধ্যায় ও কালিকাপুরাণে বলির পশুর নিখুত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে গৃহস্থের অমঙ্গল হয়। তার পরের অধ্যায়ে আছে-
সপ্তম্যাং পূজনং কৃত্বা বলিং দদ্যাদ্বিচক্ষণঃ।
অষ্টম্যাং পূজনং শস্তং বলিদান বিবর্জ্জ্বিতং।। ৮।
অষ্টম্যাং বলিদানেন বিপত্তির্জ্জায়তে নৃণাং।
দদ্যাদ্বিচক্ষণো ভক্ত্যা নবম্যাং বিধিবদ্বলিং।। ৯।
অর্থঃ বিচক্ষণ ব্যক্তি সপ্তমীতে দেবীর পূজা করে বলি প্রদান করবে। অষ্টমীতে বলিদান বিবর্জিত পূজাই প্রশস্তরূপে কথিত আছে। অষ্টমীতে বলিদানে সাধক মানবগণের বিপত্তি সংঘটন হয়, বিচক্ষণ ব্যক্তি নবমীতেই ভক্তিযোগে যথাবিধি দেবীকে বলি প্রদান করবে।
বলিদানের সময় বলি পশুকে উদ্দেশ্য করে যে মন্ত্র উচ্চারণ করতে হয়-
ছাগ ত্বং বলিরূপেণ মম ভাগ্যাদুপস্থিতঃ।
প্রণমামি ততঃ সর্বরূপিনং বলিরূপিনং।।
যজ্ঞার্থে বলয়ঃ সৃষ্টাঃ স্বয়মেব স্বয়ম্ভূবা।
অতস্ত্বাং ঘাতয়াম্যদ্য তস্মাদ যজ্ঞে বধোহবধঃ।। নন্দিকেশ্বর পুরাণ)
অর্থঃ নমস্কার হে ছাগ, আমার ভাগ্যক্রমে তুমি বলিরূপে উপস্থিত হয়েছ; স্বয়ম্ভূ স্বয়ং যজ্ঞের জন্যই বলি সকল সৃষ্টি করেছেন; এ জন্যেই আমি তোমাকে সংহার করছি; সেহেতু যজ্ঞে অর্থাৎ বলিদান কার্যে এ বধ বধই নয়।
(চলবে)
তৃপ্তিং প্রাপ্নোতি বর্ষাণাং শতানি ত্রীণি মৎপ্রিয়া।।১৬।৭৬। কালিকাপুরাণ।
অর্থঃ মা দূর্গা রোহিত মাছে ও বাধ্রীনস মাংসে তিন শত বৎসর তৃপ্তি লাভ করেন।
অনেক পন্ডিতগণ বলে থাকেন- জীবন্ত রোহিত মাছ সংগ্রহ করে বলি দেয়া সম্ভব হয় না বিধায় তৎস্থলে মদগুর (মাগুর মাছ, জিওল মাছ হিসেবে পরিচিত) বলি দেয়া চলে। এটা যদি আমরা সত্য বলে মেনে নিই তাহলে বলিতে প্রতিনিধিও চলে এটা কি মান্য করা যায় না? পুরোহিত যখন পূজায় বসেন তখন সুনির্দিষ্ট উপকরণের পরিবর্তে অমুক অমুক দেয়া চলে বলে মত প্রকাশ করেন এবং আমরা তার মান্যতা দেই। তাহলে যজ্ঞে পশু বলির পরিবর্তে ইক্ষু, কুমড়া বলি দেয়া চলে বলে পুরোহিতগণ কেন আমাদেরকে উদ্বদ্ধু করেন না?
হিংস্র পশু বলি দেয়ার পরিবর্তে তৎস্থলে পিঠার কৃত্রিম পশু গড়ে বলি দেয়ার বিধান আছে-
কৃত্বা ঘৃতময়ং ব্যাঘ্রং নরং সিংহঞ্চ ভৈরব।
অথবা পূপবিকৃতং যবক্ষোদময়ঞ্চ বা।
ঘাতয়েচ্চন্দ্রহাসেন তেন মন্ত্রেণ সংস্কৃতং।। (কালিকা পুরাণ ৬৭ অধ্যায়)
অর্থঃ ঘৃতের পিষ্টকের কিংবা যবচূর্ণনির্মিত ব্যাঘ্র, মানুষ ও সিংহ মূর্তি গড়ে সে মন্ত্রে সংস্কৃত করতঃ চন্দ্রহাস খড়গ দ্বারা ছেদন করবে।
ব্রহ্মবৈবর্ত্ত-প্রকৃতি ৬৪ অধ্যায় ও কালিকাপুরাণে বলির পশুর নিখুত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে গৃহস্থের অমঙ্গল হয়। তার পরের অধ্যায়ে আছে-
সপ্তম্যাং পূজনং কৃত্বা বলিং দদ্যাদ্বিচক্ষণঃ।
অষ্টম্যাং পূজনং শস্তং বলিদান বিবর্জ্জ্বিতং।। ৮।
অষ্টম্যাং বলিদানেন বিপত্তির্জ্জায়তে নৃণাং।
দদ্যাদ্বিচক্ষণো ভক্ত্যা নবম্যাং বিধিবদ্বলিং।। ৯।
অর্থঃ বিচক্ষণ ব্যক্তি সপ্তমীতে দেবীর পূজা করে বলি প্রদান করবে। অষ্টমীতে বলিদান বিবর্জিত পূজাই প্রশস্তরূপে কথিত আছে। অষ্টমীতে বলিদানে সাধক মানবগণের বিপত্তি সংঘটন হয়, বিচক্ষণ ব্যক্তি নবমীতেই ভক্তিযোগে যথাবিধি দেবীকে বলি প্রদান করবে।
বলিদানের সময় বলি পশুকে উদ্দেশ্য করে যে মন্ত্র উচ্চারণ করতে হয়-
ছাগ ত্বং বলিরূপেণ মম ভাগ্যাদুপস্থিতঃ।
প্রণমামি ততঃ সর্বরূপিনং বলিরূপিনং।।
যজ্ঞার্থে বলয়ঃ সৃষ্টাঃ স্বয়মেব স্বয়ম্ভূবা।
অতস্ত্বাং ঘাতয়াম্যদ্য তস্মাদ যজ্ঞে বধোহবধঃ।। নন্দিকেশ্বর পুরাণ)
অর্থঃ নমস্কার হে ছাগ, আমার ভাগ্যক্রমে তুমি বলিরূপে উপস্থিত হয়েছ; স্বয়ম্ভূ স্বয়ং যজ্ঞের জন্যই বলি সকল সৃষ্টি করেছেন; এ জন্যেই আমি তোমাকে সংহার করছি; সেহেতু যজ্ঞে অর্থাৎ বলিদান কার্যে এ বধ বধই নয়।
(চলবে)
ConversionConversion EmoticonEmoticon