চারি বেদের কলেবরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

ঋকবেদের একটি শ্লোক বা মন্ত্রকেই ‘ঋক’ বলা হয়। কতকগুলো ঋক বা মন্ত্রে কোন একজন দেবতার যে স্তবস্তুতি করা হয় তাকে ‘সূক্ত’বলা হয় অর্থাৎ একটি সূক্তে একাধিক মন্ত্র সন্নিবেশিত থাকে। কতকগুলো সূক্ত নিয়ে একটি ‘অনুবাক’ এবং কয়েকটি অনুবাক নিয়ে একটি ‘মন্ডল’ হয়। বেদ অধ্যয়ন ও অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে সমগ্র ঋগ্বেদকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। বেদ অধ্যয়নের সুবিধার্থে ঋগ্বেকে মোট ৮টি অষ্টক ও ৬৪টি অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে। তদ্রুপ অনুষ্ঠান কার্য সম্পাদনের জন্য ঋগ্বেকে ১০২৪টি বর্গে বিভক্ত করা হয়েছে। সমগ্র ঋগ্বেদে মোট ১০টি মন্ডল, ৮৫টি অনুবাক, ১০২৮টি সূক্ত এবং ১০,৫৫২টি ঋক (মন্ত্র) আছে। এখানে উল্লেখ্য, ঋগ্বেদের অষ্টম মন্ডলের ৮০টি ঋক নিয়ে ১১টি সূক্তকে বালখিল্য বলা হয়। সায়ণাচার্য এগুলিকে ঋগ্বেদের অন্তর্ভূক্ত স্বীকার করেনি বলে সেগুলো বাদ দিলে ঋগ্বেদে সূক্ত হয় ১০১৭টি এবং ঋক হয় ১০,৪৭২টি।

যজুর্বেদে সর্বমোট ১৯৭৫টি মন্ত্র আছে। অধ্যায় আছে ৪০টি এবং ৩০৩টি অনুবাক আছে। মাসবেদে মন্ত্রসংখ্যা ১৮৯৩টি। সামবেদ আবার দুই ভাবে বিভক্ত। পূর্বার্চিক ও উত্তরার্চিক। পূর্বার্চিক চার খন্ডে বিভক্ত। চারটি কান্ড আবার ছয় প্রপাঠক বা পাঁচ অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রপাঠকগুলি আবার অর্ধ প্রপাঠক ও দশতিতে বিভক্ত। উত্তরার্চিকে ২১টি অধ্যায় ও ৯টি প্রপাঠক আছে। প্রপাঠকগুলিতে অর্ধপ্রপাঠক আছে কিন্ত কোন দাশতি নেই। কিন্তু সূক্ত আছে। অথর্ববেদে মন্ত্রসংখ্যা ৫৯৭৭। এ বেদে ২০টি কান্ড আছে। কান্ডগুলি আবার ৩৪৯টি প্রপাঠকে বিভক্ত। অথর্ববেদে ১১টি অনুবাক, ৭৭টি বর্গ ও ৭৩১টি সূক্ত আছে। চারি বেদের মন্ত্রকে নিম্নোক্তভাবে বুঝানো যেতে পারে:

উদাহরণ:
ঋগ্বেদ ১০/৫৭/১ বলতে ১০ কে মন্ডল, ৫৭ কে সূক্ত ও ১ কে মন্ত্র বলা হয়। সামবেদ পূর্বার্চিক ১/১/২ বলতে পূর্বার্চিক প্রপাঠক ১, দশতি ১ ও মন্ত্র ২। সামবেদ উত্তরার্চিক ৮/২/১০ বলতে উত্তরার্চিক প্রপাঠক ৮, দ্বিতীয়ার্ধ প্রপাঠক ২ ও মন্ত্র ১০। যজুর্বেদ ৩৬/২ বলতে অধ্যায় ৩৬ এবং মন্ত্র ২। অথর্ববেদ ১৯/৬৩/২ বলতে কান্ড ১৯, বর্গ ৬৩ ও মন্ত্র ৪।

বেদ সম্পর্কে সামান্য ধারণা

শ্রীমদ্ভগবতগীতার সম্পূর্ণ শ্লোকের অর্থ

বিবিধ


মহাভারতের প্রধান প্রধান চরিত্র