সঞ্জয়


সঞ্জয় : তিনি সূতবংশীয় গবল্গনের পুত্র। ধৃতরাষ্ট্রের সারথি। পরবর্তীতে তিনি মন্ত্রী হন। একদা ধৃতরাষ্ট তার সারথি সঞ্জয়কে বললেন,“সঞ্জয়! তুমি উপপ্লব্য নগরে যাও। যুধিষ্ঠিরকে গিয়ে বল আমি শান্তি চাই। পান্ডবদের যা বলা উচিৎ, যা ভরতবংশের হিতকর এবং যাতে যুদ্ধের প্ররোচনা না হয় এমন কথাই তুমি বলবে।” তারপর সঞ্জয় উপপ্লব্য নগরে এসে যুধিষ্ঠিরকে অভিবাধন করলেন। সকলের কুশলসংবাদ দিয়ে সঞ্জয় বললেন,“মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র যুদ্ধ নয় শান্তির প্রস্তাব দিয়ে আমাকে পাঠিয়েছেন। ভীষ্ম ও ধৃতরাষ্ট্র চান আপনারা শান্তি স্থাপন করুন।” সঞ্জয় কুরু-পান্ডবদের মধ্যে যুদ্ধ না হওয়ার জন্য দূতওয়ালীর পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। কথায় কথায় ধর্মীয় প্রবচন উপস্থাপন করেন। কিন্তু তারপরও যুদ্ধ নিবারণ করতে পারেননি।

যখন যুদ্ধ অনিবার্য তখন ব্যাসদেব সঞ্জয়কে দিব্যদৃষ্টি প্রদান করেন অর্থাৎ যুদ্ধের ঘটনাবলী তিনি ধৃতরাষ্ট্রকে অবহিত করতেন। ব্যাসদেবের কৃপায় তিন যুদ্ধে অনাহত ও শ্রমে অক্লান্ত এবং জীবিত অবস্থায়ই এ যুদ্ধ থেকে ‍নিষ্কৃতি পান। মহাভারতের যুদ্ধের ঘটনাবলীর বক্তা সঞ্জয় ও শ্রোতা ধুতরাষ্ট্র। কুরুক্ষেত্রের যু্দ্ধ শেষে ধৃতরাষ্ট্রের সাথে তিনিও বনবাসী হন এবং ব্যাসদেবের উপদেশে হিমালয়ে তপস্যা করে জীবনাবসান ঘটান।

বেদ সম্পর্কে সামান্য ধারণা

শ্রীমদ্ভগবতগীতার সম্পূর্ণ শ্লোকের অর্থ

বিবিধ


মহাভারতের প্রধান প্রধান চরিত্র