শ্রীমদ্ভগবত গীতা চতুর্থ অধ্যায়

শ্রীমদ্ভগবতগীতা-চতুর্থ অধ্যায়-জ্ঞানযোগ

|অর্জুন উবাচ|
ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবানহমব্য়্যম্ |
বিবস্বান্মনবে প্রাহ মনুরিক্ষ্বাকবেহব্রবীৎ || ১ ||
অর্থ: ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন- আমি পূর্বে সূর্যদেব বিবস্মনকে এই অব্যয় নিষ্কাম কর্মসাধ্য জ্ঞানযোগ বলেছিলাম। সূর্য তা মানব জাতির জনক মনুকে বলেছিলেন এবং মনু তা ইক্ষ্বাকুকে বলেছিলেন।
এবং পরম্পরাপ্রাপ্তমিমং রাজর্ষয়ো বিদুঃ |
স কালেনেহ মহতা যোগো নষ্টঃ পরন্তপ || ২ ||
অর্থ: এভাবেই পরম্পরা মাধ্যমে প্রাপ্ত এই পরম বিজ্ঞান রাজর্ষিরা লাভ করেছিলেন। কিন্তু কালের প্রভাবে পরম্পরা ছিন্ন হয়েছিল এবং তাই সেই যোগ নষ্ট প্রায় হয়েছে।
স এবায়ং ময়া তেহদ্য যোগঃ প্রোক্তঃ পুরাতনঃ |
ভক্তোহসি মে সখা চেতি রহস্যং হি এতদুত্তমম্ || ৩ ||
অর্থ:সেই সনাতন যোগ আজ আমি তোমাকে বললান, কারণ তুমি আমার ভক্ত ও সখা এবং তাই তুমি এই বিজ্ঞানের অতি গূঢ় রহস্য হৃদঙ্গম করতে পারবে।
|অর্জুন উবাচ |
অপরং ভবতো জন্ম পরং জন্ম বিবস্বতঃ |
কথমেতদ্বিজানীয়াং ত্বমাদৌ প্রোক্তবানিতি ||৪ ||
অর্থ: অর্জুন বললেন- সূর্যদেব বিবস্বানের জন্ম হয়েছিল তোমার অনেক পূর্বে। তুমি যে পুরাকালে তাঁকে এই জ্ঞান উপদেশ করেছিলে, তা আমি কেমন করে বুঝব?
|শ্রীভগবানুবাচ|
বহূনি মে ব্যতীতানি জন্মানি তব চার্জুন |
তান্যহং বেদ সর্বাণি ন ত্বং বেত্থ পরন্তপ || ৫ ||
অর্থ: পরমেশ্ব ভগবান বললেন- হে পরন্তপ অর্জুন! আমার ও তোমার বহু জন্ম অতীত হয়েছে। আমি সেই সমস্ত জন্মের কথা স্মরণ করতে পারি কিন্তু তুমি পার না।
অজোহপি সন্ন্যব্যয়াত্মা ভূতানামীশ্বরোহপি সন্ |
প্রকৃতিং স্বামধিষ্ঠায় সম্ভবাম্যাত্মমায়য়া || ৬ ||
অর্থ:যদিও আমি জন্ম রহিত এবং আমার চিন্ময় দেহ অব্যয় এবং আমি সর্বভূতের ঈশ্বর, তবুও আমার অন্তরঙ্গা শক্তিকে আশ্রয় করে আমি আমার আদি চিন্ময় রুপে যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।
যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত |
অভ্যূত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্ || ৭ ||
অর্থ: হে ভারত! যখই ধর্মের অধ:পতন হয় এবং অধর্মের অভ্যুত্থান হয়, তখনই আমি নিজে প্রকাশ করে অবতীর্ণ হই।
পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্ |
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে || ৮ ||
অর্থ:সাধুদের পরিত্রাণ করার জন্য এবং দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্য আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।
জন্ম কর্ম চ মে দিব্যমেবং যো বেত্তি তত্ত্বতঃ |
ত্যক্ত্বা দেহং পুনর্জন্ম নৈতি মামেতি সোহর্জুন || ৯ ||
অর্থ: হে অর্জুন যিনি আমার এই প্রকার দিব্য জন্ম ও কর্ম যথাযথভাবে জানেন, তাঁকে আর দেহত্যাগ করার পর পুনরায় জন্ম গ্রহণ করতে হয় না, তিনি আমার নিত্য ধা লাভ করেন।
বীতরাগভয়ক্রোধা: মন্ময়া মামুপাশ্রিতাঃ |
বহবো জ্ঞানতপসা পূতা মদ্ভাবমাগতাঃ || ১০ ||
অর্থ: আসক্তি, ভয় ও ক্রোধ থেকে মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণরুপে আমাকে মগ্ন হয়ে, একান্তভাবে আমার আশ্রিহ হয়ে, পূর্বে বহু বহু ব্যক্তি আমার জ্ঞান লাভ করে পবিত্র হয়েছে- এবং এভাবেই সকলেই আমার অপ্রাকৃত প্রীতি লাভ করেছে।
যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্ |
মম বত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যা: পার্থ সর্বশঃ || ১১ ||
অর্থ: যারা যেভাবে আমার প্রতি আত্মসমর্পণ করে, আমি তাদেরকে সেভাবেই পুরষ্কৃত করি। হে পার্থ! সকলেই সর্বতোভাবে আমার পথ অনুসরণ করে।
কাঙ্ক্ষন্তঃ কর্মণাং সিদ্ধিং যজন্ত: ইহ দেবতাঃ |
ক্ষিপ্রং হি মানুষে লোকে সিদ্ধির্ভবতি কর্মজা || ১২ ||
অর্থ: এই জগতে মানুষেরা সকাম কর্মের সিদ্ধি কামনা করে এবং তাই তারা বিভিন্ন দেব-দেবীর উপাসনা করে। সকাম কর্মের ফল অবশ্যই অতি শ্রীঘ্রই লাভ হয়।
চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ |
তস্য কর্তারমপি মাং বিদ্ধ্যকর্তারমব্যয়ম্ || ১৩ ||
অর্থ: প্রকৃতির তিনটি গুন ও কর্ম অনুসারে আমি মানব সমাজে চারিটিবর্ণবিভাগ সৃষ্টি করেছি। আমি এই প্রথার স্রষ্টা হলেও আমাকে অকর্তা ও অব্যয় বলে জানবে।
ন মাং কর্মাণি লিম্পন্তি ন মে কর্মফলে স্পৃহা |
ইতি মাং যোহভিজানাতি কর্মভির্ন স বধ্যতে || ১৪ ||
অর্থ: কোন কর্মই আমাকে প্রভাবিত করতে পারে না এবং আমিও কোন কর্মফলের আকাংখা করি না। আমার এই তত্ত্ব যিনি জানেন, তিনিও কখনও সকাম কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ হন না।
এবং জ্ঞাত্বা কৃতং কর্ম পূর্বৈরপি মুমুক্ষুভিঃ |
কুরু কর্মৈব তস্মাত্ত্বং পূর্বৈঃ পূর্বতরং কৃতম্ || ১৫ ||
অর্থ: প্রাচীনকালে সমস্ত মুক্ত পুরুষেরা আমার অপ্রাকৃত তত্ত্ব অবগত হয়ে কর্ম করেছেন। অতএব তুমিও সেই প্রাচীন মহাজনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তোমার কর্তব্য সম্পাদন কর।
কিং কর্ম কিমকর্মেতি কবয়োহপ্যত্র মোহিতাঃ |
তত্তে কর্ম প্রবক্ষ্যামি যজ্ জ্ঞাত্বা মোক্ষ্যসেহশুভাৎ || ১৬ ||
অর্থ: কাকে কর্ম ও কাকে অকর্ম বলে, তা স্থির করতে বিবেকী ব্যক্তিরাওvমোহিত হন। আমি সেই কর্ম বিষয়ে তোমাকে উপদেশ করব। তুমি তা অবগতvহয়ে সমস্ত অশুভ অবস্থা থেকে মুক্ত হবে।
কর্মণো হ্যপি বোদ্ধব্যং বোদ্ধব্যং চ বিকর্মণঃ |
অকর্মণশ্চ বোদ্ধব্যং গহনা কর্মণো গতিঃ || ১৭ ||
অর্থ: কর্মের নিগূঢ় তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করা অত্যন্ত কঠিন। তাই কর্ম, বিকর্ম ও অকর্ম সম্বন্ধে যথাযথভাবে জানা কর্তব্য।
কর্মণ্যকর্ম য: পশ্যেদকর্মণি চ কর্ম য: |
স বুদ্ধিমান্ মনুষ্যেষু স যুক্তঃ কৃৎস্নকর্মকৃৎ || ১৮ ||
অর্থ: যিনি কর্মে অকর্ম দর্শন করেন এবং অকর্মে কর্ম দর্শন করেন, তিনিই মানুষের মধ্যে বুদ্ধিমান। সব রকম কর্মে লিপ্ত থাকা সত্ত্বেও তিনি চিন্ময় স্তরে অধিষ্ঠিত।
যস্য সর্বে সমারম্ভাঃ কামসংকল্পবর্জিতাঃ |
জ্ঞানাগ্নিদগ্ধকর্মাণং তমাহুঃ পণ্ডিতং বুধাঃ || ১৯ ||
অর্থ:যাঁর সমস্ত কর্ম প্রচেষ্টা কাম ও সংকল্প রহিত, তিনি পূর্ণ জ্ঞানে অধিষ্ঠিত। জ্ঞানীগণ বলেন যে, তাঁর কর্মের প্রতিক্রিয়া পরিশুদ্ধ জ্ঞানাগ্নি দ্বারা দগ্ধ হয়েছে।
ত্যক্ত্বা কর্মফলাসঙ্গং নিত্যতৃপ্তো নিরাশ্রয়ঃ |
কর্মণ্যভিপ্রবৃত্তোহপি নৈব কিঞ্চিৎ করোতি সঃ || ২০ ||
অর্থ: যিনি কর্মফলের আসক্তি সর্ম্পূণরুপে ত্যাগ করে সবর্দা তৃপ্ত এবং কোন রকম আশ্রয়ের অপেক্ষা করেন না, তিনি সব রকম কর্মে যুক্ত থাকা সত্ত্বে কর্মফলের আশায় কোন কিছুই করেন না।
নিরাশীর্যতচিত্তাত্মা ত্যক্তসর্বপরিগ্রহঃ |
শারীরং কেবলং কর্ম কুর্বন্নাপ্নোতি কিল্বিষম্ || ২১ ||
অর্থ:এই প্রকার জ্ঞাণী ব্যক্তি তাঁর মন ও বুদ্ধিকে সর্বতোভাবে সংযত করে কার্য করেন। তিনি প্রভুত্ব করার প্রবৃত্তি পরিত্যাগ করে কেবল জীবন ধারণের জন্য কর্ম করেন। এভাবেই কর্ম করার ফলে কোন রকম পাপ তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না।
যদৃচ্ছালাভসন্তুষ্টো দ্বন্দ্বাতীতো বিমৎ সরঃ |
সমঃ সিদ্ধাবসিদ্ধৌ চ কৃত্বাহপি ন নিবধ্যতে || ২২ ||
অর্থ: যিনি অনায়াসে যা লাভ করেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকেন, যিনি সুখ-দু:খ, রাগ-দ্বেষ আদি দ্বন্দ্বের বশীভূত হন না এবং মাৎসর্যশূন্য, যিনি কার্যের সাফল্য ও অসাফল্যে অবিচলিত থাকেন, তিনি কর্ম সম্পাদন করলেও কর্মফলের দ্বারা কখনও আবদ্ধ হন না।
গতসঙ্গস্য মুক্তস্য জ্ঞানাবস্থিতচেতসঃ |
যজ্ঞায়াচরতঃ কর্ম সমগ্রং প্রবিলীয়তে || ২৩ ||
অর্থ: জড়া প্রকৃতির গুণের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে, চিন্ময় জ্ঞাননিষ্ঠ ব্যক্তি যজ্ঞের উদ্দেশ্যে যে কর্ম সমপাদন করেন, সেই সকল কর্ম সম্পূর্ণরুপে লয় প্রাপ্ত হয়।
ব্রহ্মার্পণং ব্রহ্ম হবির্ব্রহ্মাগ্নৌ ব্রহ্মণা হুতম |
ব্রহ্মৈব তেন গন্তব্যং ব্রহ্মকর্মসমাধিনা || ২৪ ||
অর্থ: যিনি কৃষ্ণভাবনায় সম্পূর্ণ মগ্ন তিনি অবশ্যই চিৎ-জগতে উন্নীত হবেন, কারণ তাঁর সমস্ত কার্যকলাপ চিন্ময়। তাঁর কর্মের উদ্দেশ্য চিন্ময় এবং সেই উদ্দেশ্যে তিনি যা নিবেদন করেন, তাও চিন্ময়।
দৈবমেবাপরে যজ্ঞং যোগিনঃ পর্যুপাসতে |
ব্রহ্মাগ্নাবপরে যজ্ঞং যজ্ঞেনৈবোপজুহ্বতি || ২৫ ||
অর্থ: কোনও কোনও যোগী দেবতাদের উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করার মাধ্যমে তাদের উপাসনা করেন, আর অন্য অনেকে ব্রহ্মরুপ অগ্নিতে সব কিছু নিবেদন করার মাধ্যমে যজ্ঞ করেন।
শ্রোত্রাদীনীন্দ্রিয়াণ্যন্যে সংযমাগ্নিষু জুহ্বতি |
শব্দাদীন্ বিষয়ানন্য ইন্দ্রিয়াগ্নিষু জুহ্বতি ||২৬ ||
অর্থ: অন্য কোন কোন যোগী কর্ণ প্রভৃতি ইন্দ্রিয়সমুহকে সংযমাগ্নিতে আহুতি দেন, আবার অন্য কোন যোগী শব্দ প্রভৃতি বিষয়সমুহকে ইন্দ্রিয়াগ্নিতে আহুতি দেন।
সর্বাণীন্দ্রিয়কর্মাণি প্রাণকর্মাণি চাপরে |
আত্মসংযমযোগাগ্নৌ জুহ্বতি জ্ঞানদীপিতে ||২৭ ||
অর্থ: ব্রহ্ম জ্ঞানে প্রদীপিত আত্মসংযম রুপ অগ্নিতে কোন কোন যোগী হোম করেন অর্থাৎ পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয় ও পঞ্চপ্রান- এদের সমস্ত কর্ম লীন করেন এবং আত্মানন্দ সুখে মগ্ন থাকেন।
দ্রব্যযজ্ঞাস্তপোযজ্ঞা যোগযজ্ঞাস্তথাপরে |
স্বাধ্যায়জ্ঞানযজ্ঞাশ্চ যতয়ঃ সংশিতব্রতাঃ || ২৮ ||
অর্থ: কঠোর ব্রত পালন করে কেউ কেউ দ্রব্য দানরুপ যজ্ঞ করেন। কেউ কেউ তপস্যারুপ যজ্ঞ করেন, কেউ কেউ অষ্টাঙ্গ-যোগরুপ যজ্ঞ করেন এবং অন্য অনেকে পারমার্থিক জ্ঞান লাভের জন্য বেদ অধ্যয়নরুপ যজ্ঞ করেন।
অপানে জুহ্বতি প্রাণং প্রাণেহপানং তথাপরে |
প্রাণাপানগতী রুদ্ধ্বা প্রাণায়ামপরায়ণাঃ |
অপরে নিয়তাহারাঃ প্রাণান্প্রাণেষু জুহ্বতি || ২৯ ||
অর্থ:আর যাঁরা প্রাণায়াম র্চ্চায় আগ্রহী, তাঁরা অপান বায়ুকে প্রাণবায়ুতে এবং প্রাণবায়ুকে অপান বায়ুতে আহুতি দিয়ে অবশেষে প্রাণ ও অপান বায়ুর গতি রোধ করে সমাধিস্থ হন। কেউ আবার আহার সংযম করে প্রাণবায়ুকে প্রাণবায়তেই আহুতি দেন।
সর্বেহপ্যেতে যজ্ঞবিদো যজ্ঞ ক্ষপিতকল্মষাঃ |
যজ্ঞশিষ্টামৃতভূজো যান্তি ব্রহ্ম সনাতনম্ || ৩০ ||
অর্থ:এঁরা সকলেই যজ্ঞতত্ত্ববিৎ এবং যজ্ঞের প্রভাবে পাপ থেকে মুক্ত হয়ে তাঁরা যজ্ঞাবশিষ্ট অমৃত অস্বাদন করেন, এবং তারপর সনাতন প্রকতিতে ফিরে যান।
নায়ং লোকোহস্ত্যযজ্ঞস্য কুত্যেহন্য: কুরুসত্তম || ৩১ ||
অর্থ: হে কুরুশ্রেষ্ঠ! যজ্ঞ অনুষ্ঠান না করে কেউই এই জগতে সুখে থাকতে পারে না, তাহলে পরলোকে সুখপ্রাপ্তি কি করে সম্ভব? সংশয়ের উদয় হযেছে, তা জ্ঞানরুপ খঙেগর দ্ধারা ছিন্ন কর। যোগাশ্রয় করে যুদ্ধ করার জন্য উঠে দাঁড়াও।
ইতি- শ্রীমদ্ভগবত গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের ভক্তিবেদান্ত তাৎপর্য সমাপ্ত।

বেদ সম্পর্কে সামান্য ধারণা

শ্রীমদ্ভগবতগীতার সম্পূর্ণ শ্লোকের অর্থ

বিবিধ


মহাভারতের প্রধান প্রধান চরিত্র