দুর্যোধন

দুর্যোধন :ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর জ্যেষ্ঠ পুত্র। ব্যাসদেব গান্ধারীকে শতপুত্র লাভের বর দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে কুন্তির একটি পুত্র সন্তান হলে গান্ধারী কিছুটা অস্থির হন আর কিছুটা ঈর্ষান্বিত হন। কিন্তু গর্ভধারনের দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও গান্ধারীর গর্ভ থেকে কোন পুত্র সন্তান না হওয়ায় ধৃতরাষ্ট্রের অজ্ঞাতসারে তিনি গর্ভপাত করেন। ফলে লোহার মত একটি কঠিন মাংসপিন্ড প্রসব হয়। তা ফেলে দেবার উপক্রম করলে ব্যাসদেব এসে বলেন,“আমার কথা মিথ্যা হবে না।” ব্যাসদেবের পরামর্শে গান্ধারী মাংসপিন্ডকে শীতল জলে ভিজিয়ে রাখলেন তা থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একশত একটি ভ্রূণ হলো। ভ্রূণগুলি একশত একটি ঘৃতপূর্ণ কলসে আলদাভাবে রাখলেন। এক বছর পর একটি কলস হতে দুর্যোধনে জন্ম হলো। ঘটনাক্রমে দুর্যোধন ও ভীমের একই দিনে জন্ম হলো। জন্মের পরই দূর্যোধন গর্দভের মত চীৎকার করে উঠল। চারিদিকে অমঙ্গল দেখা দিতে লাগল। তখন বিদূর ও ব্রাহ্মণগণ এ পুত্রকে পরিত্যাগ করার জন্য ধৃতরাষ্ট পরামর্শ দিলেন। কারণ দুযোর্ধনের কারণেই কুরুবংশ ধ্বংস হবে। কিন্তু পুত্রস্নেহে ধৃতরাষ্ট্র তা করতে পারলেন না। অপরাপর কলসে দু:শাসন, বিকর্ণ ও চিত্রসেনসহ ৯৯ জন পুত্র এবং দু:শলা নামে এক কন্যার জন্ম হয়।

হস্তিনাপুরে যুধিষ্ঠিরাদি ও দুর্যোধনাদি বড় হতে থাকেন। কৃষ্ণের ভ্রাতা বলরামের কাছে দূর্যোধন গদা যুদ্ধে বিশেষ পারদর্শী লাভ করেন। পঞ্চপান্ডবদের মধ্যে ভীম ছিলেন বলশালী। দুর্যোধন ভীমকেই বেশী ঈর্ষা করতো। বাল্যকাল হতে ভীমের সহিত দূর্যোধনাদির ক্রীড়া, কৌতুক ও ঝগড়া সর্বদাই হতো। ভীমের অত্যধিক শারীরিক শক্তি দূর্যোধনাদির পীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভীমের শক্তির কাছে তারা সব সময় হার মানত। বাল্যকালে দুর্যোধনাদি জলক্রীড়ার ছলে ভীমকে বিষমিশ্রিত মিষ্টান্ন ভোজনের পর অজ্ঞান ভীমকে জলে নিক্ষেপ করেন। নাগরাজ বাসুকীর কৃপায় তিনি আটটি রসায়ন-কুন্ড পান করে অযুত হস্তীর শক্তি সঞ্চয় করে স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন করেন।

ধৃতরাষ্ট্র পঞ্চপান্ডব ও কৌরবদের অস্ত্র শিক্ষা দেয়ার জন্য দোণাচার্যকে নিযুক্ত করেন। তার কাছেই গদা যুদ্ধে ভীম ও দুর্যোধন অপ্রদন্দ্বী হয়ে উঠেন। কৌরবদের অস্ত্রশিক্ষা প্রদর্শনকালে ভীম ও দুর্যোধন পরস্পরের প্রতি মারমুখী হয়ে উঠলে দ্রোণের নির্দেশে অশ্বত্থামা তাদের নিবৃত্ত করেন। তথায় অনাহুত কর্ণ উপস্থিত হন। তিনি রণে কৌশলে অংশ গ্রহণ করতে চাইলে অজ্ঞাতকুলশীল হওয়ায় কৃপাচার্য ও পান্ডব তাকে অপমান করেন। কিন্তু দুর্যোধন কর্ণের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অঙ্গরাজ কর্ণ বলে অভিষিক্ত করেন।

পান্ডবগণ বহু দেশ জয় করে নিজেদের রাজ্য বিস্তার করলেন এবং প্রচুর ধনরত্নের অধিকারি হলেন। পান্ডবদের ক্রমবর্ধমান যশ ও জনপ্রিয়তায় দুর্যোধন ঈর্ষান্বিত হতে লাগলেন। ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে দুর্যোধন মাতুল শকুনি ও কর্ণের সাথে পরামর্শ করে সু্কৌশলে ধৃতরাষ্ট্রকে দিয়ে পান্ডবদের বারাণাবতে পশুপতি উৎসবে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন। দুযোর্ধন অত্যন্ত খুশী হলেন। তিনি পুরোচন নামক মন্ত্রীকে দিয়ে বারাণাবতে শণ, সর্জনস (ধুনা) প্রভৃতি দিয়ে একটি সুসজ্জিত চতু:শাল (চকমিলান) নির্মাণের নির্দেশ দিলেন। মাটির সহিত প্রচুর ঘৃত, তৈল, বাস, জতু (গালা) মিশিয়ে দেয়াল তৈরীর জন্য বললেন। চতুর্দিকে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য কাষ্ঠ রাখার জন্য এবং ভাল শয্যা রাখার জন্য বললেন যাতে পান্ডবরা কিছূ বুঝতে না পারে। যখন পান্ডবরা নিশ্চিন্ত মনে নিদ্রা যাবে তখনই দ্বারদেশে আগুন দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু ধর্মমতি বিদুর দুর্যোধনের দূরাভিসন্ধি বুঝতে পেরে তাকে ম্লেচ্ছভাষায় সম্পূর্ণ ঘটানা বুঝিয়ে দেন। ফলে কৌরবদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

ধৃতরাষ্ট্র পান্ডবদের অর্ধেক রাজ্য হিসেবে খান্ডবপ্রস্থ দান করেন। পান্ডবরা সেখানের বন পরিষ্কার করে ইন্দ্রপ্রস্থ নগর প্রতিষ্ঠা করেন। তারা বিভিন্ন রাজ্য জয় করে রাজ্যের সীমানা বর্ধিত করেন। রাজসূয় যজ্ঞে আমন্ত্রিত দুর্যোধন পান্ডবদের ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্য দেখে অভিভূত হয়ে ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে উঠেন। ফিরে এসে মামা শকুনির পরামর্শে ধৃতরাষ্ট্রকে দিয়ে দ্যুতক্রীড়ার আমন্ত্রণ জানান। শকুনির ছলনায় যুধিষ্ঠির দ্যুতক্রীড়ায় রাজ্য, দ্রৌপদী ও ভ্রাতাদের হারান। বিজয়ী দুর্যোধনের আদেশে ভ্রাতা দু:শাসন দ্রৌপদীকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে দ্যুত সভায় নিয়ে আসেন। দুর্যোধন দ্রৌপদীকে তার উরুদেশে বসার জন্য বলেন। এতে ভীম ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি দুর্যোধনের উরু ভঙ্গ করবেন। এদিকে দ্রৌপদীও প্রতিজ্ঞা করেন যে পর্যন্ত না ভীম দু:শাসনের রক্তে তার কেশ বন্ধনে সাহায্য না করে ততদিন তিনিও কেশ বন্ধন করবেন না। ঘটনার পরম্পরা আঁচ করতে পেরে রাজা ধৃতরাষ্ট্র বিচলিত হয়ে পড়েন এবং দ্রৌপদী ও পঞ্জপান্ডবদের মুক্তির আদেশ দেন।

পান্ডবদের অজ্ঞাতবাসের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার জন্য দ্বৈতবনে যান। সেখানে গন্ধর্বরাজ চিত্রসেনের হাতে বন্ধী হলে যুধিষ্ঠির তাকে মুক্ত করেন। ভীম কর্তৃক কীচন বধ হরে দুর্যোধন বিরাটরাজকে দূর্বল মনে করে তার গোধন হরণকালে বৃহন্নলারূপী অর্জুনের কাছে কৌরবরা পরাজিত হন।

যুদ্ধের জন্য পান্ডব ও কৌরব সৈন্য সংগ্রহের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। তারি এক পর্যায়ে দুর্যোধন কৃষ্ণের সাহায্য লাভের আশায় দ্বারকায় রওনা হন এবং একই সময়ে যুধিষ্ঠির দ্বারকার রওনা হন। দুর্যোধন একটু আগে এসে কৃষ্ণের শিয়রের কাছে বসেন এবং যুধিষ্ঠির কৃষ্ণের পাদদেশে বসেন। কৃষ্ণ ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই যুধিষ্ঠিরকে দেখেন। দুর্যোধন আগে এসেছে বলায় কৃষ্ণ বলেন কিন্ত তিনি যুধিষ্ঠিরকেই আগে দেখেছেন। তিনি উভয়পক্ষকেই সাহায্য করতে চান। তিনি বলেন এক পক্ষে তিনি স্বয়ং যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করবেন না। অপর পক্ষে দশলক্ষ নারায়ণী সেনা যুদ্ধের জন্য দিবেন। তারা কে কোনটি চান, সেটি কৃষ্ণ জানতে চাইলে যুধিষ্ঠির কৃষ্ণকে প্রার্থনা করেন আর দুর্যোধন নারায়ণী সেনা গ্রহণ করলেন।

অজ্ঞাতবাস শেষ হলে পান্ডবরা তাদের হৃতরাজ্য দাবী করলে দুর্যোধন বলেন, অজ্ঞাতবাসকাল পূর্ণ হবার পূর্বেই তাদের পরিচয় প্রকাশ পাওয়ায় রাজ্য ফিরিয়ে দিতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। যুদ্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করলে ধৃতরাষ্ট্র যুধিষ্ঠিরের নিকট সঞ্জয়কে দূত হিসেবে প্রেরণ করে যুদ্ধ নিবারণ করার জন্য বললে ‍যুধিষ্ঠির প্রাপ্য রাজ্য ফিরে না দেয়া হয় তবে পঞ্চভ্রাতাকে কুশস্থল, বৃকস্থল, মাকন্দ, বারণাবত ও আর একটি গ্রাম অর্থাৎ পঞ্চগ্রাম দান করলেই তার যুদ্ধ থেকে ‍নিবৃত্ত হবে। যুধিষ্ঠির যুদ্ধ নিবারণের জন্য শ্রীকৃষ্ণকে হস্তিনাপুর প্রেরণ করেন। দুর্যোধন বিনাযুদ্ধে সূচ্যগ্র ভূমিও দিতে অসম্মত হন। ফলে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে।

অষ্টাদশ দিনে সকল কৌরব সেনা নিহত হলে দুর্যোধন দ্বৈপায়ন হ্রদে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তথায় কৌরবপক্ষের হতাবশিষ্ট অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য ও কৃতবর্মা দুর্যোধনের সাথে দেখা করে যুদ্ধের জন্য পরামর্শ করতে আসেন। দুর্যোধন পরদিন এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে তাদের বিদায় দেন। এ সময় কয়েকজন ব্যাধ এ আলোচনা শুনে পান্ডবদের নিকট দুর্যোধনের আত্মগোপনের সংবাদ দেন। তখন পান্ডবরা দ্বৈপায়ন হ্রদে আসেন এবং যুধিষ্ঠির তীব্র বাক্যে দুর্যোধনকে আক্রমন করেন। তখন দুর্যোধন হ্রদ থেকে উঠেই ভীমকে প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে লড়াই ইচ্ছা প্রকাশ করেন। উভয়ই যুদ্ধ করতে প্রস্তুত, উভয়েরই শিক্ষাগুরু বলরাম। এদিকে তীর্থভ্রমণরত অবস্থায় দুর্যোধন ও ভীমের গদা যুদ্ধের সংবাদ পেয়ে তথায় আসেন। বলরামের পরামর্শে কুরুক্ষেত্রের মধ্যবর্তী সমন্তপঞ্চকে সরস্বতী নদীর দক্ষিণ তীরে এক পবিত্র স্থানে যুদ্ধ শুরু হয়। গদা যুদ্ধে ভীম বলশালী হলেও রণ কৌশলে পারদর্শী দুর্যোধন। কৃষ্ণ নিজের উরুতে চপেটাঘাত করে ভীমকে তার প্রতিজ্ঞার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ভীমের প্রহার প্রতিহত করার জন্য লাফ দিয়ে উঠামাত্রই ভীম অন্যায়ভাবে যুর্যোধনের কটিদেশের নীচে গদা দিয়ে আঘাত করে দুর্যোধনের উরুভঙ্গ করেন। অন্যায় যুদ্ধ দেখে বলরাম ভীমকে হত্যা করতে যান। কৃষ্ণ তাকে বাঁধা দেন। এ অবস্থায় দুর্যোধনকে ফেলে পান্ডবরা চলে যান।

দুর্যোধনের উরু ভঙ্গের সংবাদ পেয়ে অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য ও কৃতবর্মা সেখানে উপস্থিত হন। দুর্যোধন অশ্বত্থামাকে যুদ্ধের সেনানায়কে অভিষিক্ত করে ভীমের মুন্ডু আনার জন্য নির্দেশ দেন। তিন জন রাতের বেলায় ছদ্মবেশে পান্ডব শিবিরে প্রবেশ করে দ্রৌপদীর পঞ্চপুত্র, ধৃষ্টদ্রূম্ন এদেরকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেন। হত্যার সংবাদ শুনে দুর্যোধন উৎফুল্ল হন এবং প্রাণত্যাগ করে স্বর্গবাসী হন।

দুর্যোধন মহাভারতের এক খলনায়ক। বাল্যকাল হতে দুর্যোধন প্রভুত্বশালী ও আদেশদাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ছিলন রাজ্যলোভী। অধর্মই যার ধর্ম। নিষ্ঠুর ও দূরাত্মা। সারাজীবন তিনি পান্ডবদের কেবল অনিষ্ট করেই গিয়েছেন। পান্ডবদের প্রতি তার ঈর্ষা পরায়ণতা ছিল আকাশ সম। নিজেও ঈর্ষা ও বিদ্বেষের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। তার কুকর্মের সারথি হচ্ছে মামা শকুনি ও অঙ্গরাজ কর্ণ। এরা ছিল তার মূল পরামর্শদাতা। দাম্ভিক, দৃঢ়চেতা ও উদ্যোগী পুরুষ হিসেবেই তাকে বিবেচনা করা যেতে পারে। সময় ও সুযোগে সর্বাগ্রে কার্যসিদ্ধি করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তার। অনেক খারপ গুণের মধ্যে কয়েকটি ভাল গুণ ছিল তার। অস্ত্র প্রদর্শন চলাকালে পান্ডব কর্তৃক কর্ণকে নীচবংশ বিবেচনা করে কটূক্তি করার সাথে সাথে দুর্যোধন তাকে অঙ্গরাজ্যে অভিষিক্ত করেন। দুর্যোধন প্রজাবৎসল শাসক ছিলেন। কারণ হস্তিনাপুরের কোন প্রজা তার প্রতি অসন্তষ্ট ছিলেন না। দুর্যোধন ভাগ্যে বিশ্বাসী ছিলেন। সভাপর্বে দুর্যোধন বিদূরকে বলেছিলন,“যিনি গর্ভস্থ শিশুকে শাসন করেন তিনিই আমার শাসক; তার প্রেরণায় আমি জলস্রোতের ন্যায় চালিত হচ্ছি।” উদ্যাগপর্বে কন্বমুনি তাকে সদুপদেশ দিলে তিনি উরু চাপড়ে বলেন,“মহর্ষি! ঈশ্বর আমাকে যেমন সৃষ্টি করেছেন এবং ভবিষ্যতে আমার যা হবে আমি সেই ভাবেই চলছি, কেন প্রলাপ বকছেন?” দ্রোণাচার্য বধের দিন আমরা দুর্যোধনের চরিত্রে কিছু আলোর ফুলকি দেখতে পাই। প্রাত:কালে সাত্যকিকে দেখে দুর্যোধন বলেন,“সখা! ক্রোধ, লোভ ক্ষত্রিয়াচার ও পৌরুষকে ধিক! আমরা পরস্পরের প্রতি শরসন্ধান করছি! বাল্যকালে আমরা পরস্পরের প্রাণ অপেক্ষা প্রিয় ছিলাম, এখন এ রণস্থলে সে সমস্তই জীর্ণ হয়ে গেছে। সাত্যকি, আমাদের সেই বাল্যকালের খেলা কোথায় গেল? এই যুদ্ধই বা কেন হল? যে ধনের লোভে আমরা যুদ্ধ করছি তা নিয়ে আমরা কি করব? আশ্রমবাসিকপর্বে রাজা ধৃতরাষ্ট্র প্রজাদের নিকট হতে বিদায় নেয়ার সময় বলেছিলেন,“মন্দবুদ্ধি দুর্যোধন আপনাদের কাছে কোন অপরাধ করেনি।” প্রজাদের যিনি মুখপাত্র তিনিও স্বীকার করেন দুর্যোধন প্রজাদের প্রতি কখনও দূর্ব্যবহার করেনি।
সূত্র : মহাভারত ও বিভিন্ন পৌরানিক গ্রন্থ

বেদ সম্পর্কে সামান্য ধারণা

শ্রীমদ্ভগবতগীতার সম্পূর্ণ শ্লোকের অর্থ

বিবিধ


মহাভারতের প্রধান প্রধান চরিত্র