বিকর্ণ

বিকর্ণ : ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর একশত পুত্রের মধ্যে বিকর্ণ একজন। দুর্যোধন ও দু:শাসন এর মত বিকর্ণ এত উগ্রও নয় নিষ্ঠুর নয়। তার ভিতরে কিছু হলেও ধর্ম জ্ঞান আছে। দু:শাসন যখন দুর্যোধনের নির্দেশে দ্রৌপদীকে টেনে হিচড়ে দ্যুতসভায় নিয়ে আসলেন। তখন লজ্জায় ও ক্রোধে দ্রৌপদী দ্যূতসভায় উপস্থিত সকলকে তীব্র ভাষায় তিরস্কার করে বাক্যবাণে জর্জরিত করে অনেক প্রশ্ন করলেন। কিন্তু ভীষ্ম, দ্রোণ, ধৃতরাষ্ট্রসহ সকলে মৌনব্রত পালন করলেন। তখন ধৃতরাষ্ট্র নন্দন বিকর্ণ পান্ডবদের অসহায়ত্ব ও দ্রৌপদীকে শোকাতুর দেখে সভায় উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্যে করে বললেন,“পাঞ্চালী যা বললেন আপনারা তার যথার্থ উত্তর দিন। যদি সুবিচার না করেন তবে আমাদের নরক বাস করতে হবে। মহামহিম ভীষ্ম, গুরু দ্রোণাচার্য, মহামতি বিদূর ও কৃপাচার্য আপনারা গুরুজন এখানে আছেন, দ্রৌপদীর প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না কেন? বিকর্ণ কয়েকবার প্রশ্ন করলেও কেহ উত্তর দিলেন না। তখন বিকর্ণ হাতে হাত ঘষে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,“আপনার কিছু না বললেও আমি যা ন্যায়সংগত মনে করি তা বলছি।মহাপুরুষেরা বলে থাকেন,“ মৃগয়া, মদ্যপান, অক্ষক্রীড়া ও অধিক স্ত্রীসঙ্গ- এ চারটি রাজাদের ব্যসন। যুধিষ্ঠির ব্যসনাযুক্ত হয়ে ধর্ম চুত্য হয়ে দ্রৌপদীকে পণ রেখেছিলেন। কিন্তু পঞ্চপান্ডবই দ্রৌপদীর স্বামী। আর যুধিষ্ঠির নিজে পরাজিত হওয়ার পর দ্রৌপদীকে পণ রেখেছিলেন। তাই দ্রৌপদী পরাজিত হননি।”
সভায় মহারোল উঠল। কেহ বিকর্ণকে প্রশংসা করতে লাগল কেহ শকুনির নিন্দা করতে লাগল। কর্ণও বিকর্ণকে তার বক্তব্যের জন্য তিরস্কার করল। ভীম বিকর্ণকে হত্যা করে অনুতপ্ত হয়েছিলেন।

বেদ সম্পর্কে সামান্য ধারণা

শ্রীমদ্ভগবতগীতার সম্পূর্ণ শ্লোকের অর্থ

বিবিধ


মহাভারতের প্রধান প্রধান চরিত্র