মহারাজ দূষ্মন্ত

দুষ্মন্ত:পুরবংশের একজন বিখ্যাত রাজা। তার পিতার নাম ঈনিল। একদিন মহারাজ দুষ্মন্ত মৃগয়া আসেন। ক্লান্ত হয়ে কণ্বমুনি আশ্রমে আশ্রয় নেন। তখন মুনিবর আশ্রমে ছিলেন না। শকুন্তলা মহারাজকে যথাযথভাবে অতিথি সৎকার করেন। কিন্তু মহারাজ দুষ্মন্ত শকুন্তলার রুপে-গুণে মুগ্ধ হয়ে তাকে গান্ধর্ব মতে বিবাহ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। কিন্ত শকুন্তলা মহারাজকে কণ্বমুনি আশ্রমে ফিরে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্ত মহারাজ কিছুতেই নিজেকে স্থির রাখতে পারছিলেন না। উপায়ন্তর না দেখে শকুন্তলা মহারাজকে বলেন,”মহারাজ যদি নিতান্তই আমাকে আপনার স্ত্রী হতে হয় তবে একটি শর্ত পালন করতে হবে। আমার গর্ভে যে সন্তান আসবে তাকেই যুবরাজ হিসেবে অভিষিক্ত করতে হবে।” ভালবাসায় অন্ধ হয়ে মহারাজ দুষ্মন্ত শকুন্তলার শর্তে রাজি হয়ে যান। তথায় কিছুদিন অতিবাহিত করে অবশেষে নিজ রাজ্যে ফিরে আসেন। কিছুদিন পর শকুন্তলা একটি সুন্দর শিশুর জন্ম দেন। এ বালকটি খুবই সাহসী ও শক্তিমান ছিল। যে কোন প্রাণিকে দমন করতে পারত বলে ছোট বেলায়ই এর নাম হয় সর্বদমন। একদিন কণ্বমুনি শকুন্তলাকে বলল,” মা জননী! বালকের এখন যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত হওয়ার সময় হয়েছে। তুমি তাকে নিয়ে মহারাজ দুষ্মন্তের নিকট যাও।” তখন শকুন্তলা তার পুত্রকে নিয়ে দুষ্মন্তের নিকট গেল এবং তার পুত্রের যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করার জন্য তার শর্তের কথা স্মরণ করিয়ে দিল। কিন্তু মহারাজ তাকে এবং তার পুত্রকে না চেনার ভান করল। এতে শকুন্তলা ক্রোধান্বিত হয়ে ফিরে যেতে চাইলে দৈববাণী হয় যে, শকুন্তলা তার স্ত্রী এবং ঐ বালকই তার পুত্র। পরে মহারাজ দুষ্মন্ত তাকে এবং তার পুত্রকে গ্রহণ করেন। এ পুত্রই ভরত নামে বিদিত এবং তার নামানুসারেই ভারতবর্ষ নামকরণ হয়।

বেদ সম্পর্কে সামান্য ধারণা

শ্রীমদ্ভগবতগীতার সম্পূর্ণ শ্লোকের অর্থ

বিবিধ


মহাভারতের প্রধান প্রধান চরিত্র