রাজা ভরত

রাজা ভরত:তিনি একজন চন্দ্রবংশীয় রাজা। পিতা দুষ্মন্ত ও মাতা শকুন্তলা। কণ্বমুনির আশ্রমে তার জন্ম হয়। তিনি একজন প্রজাহিতৈষী রাজা ছিলেন। তিনি প্রবল-প্রতাবশালী রাজা ছিলেন। তিনি সমগ্র ভারতবর্ষ  নিজের শাসনে নিয়ে আসেন। তার নামানুসারেই ভারতবর্ষ নামকরণ হয়। হিমালয় হতে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত তার রাজ্য বিস্তৃত ছিল।  তিনি গঙ্গার তীরে চারশত, যমুনার তীরে একশত ও সরস্বতীর তীরে তিনশত অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। তিনি রাজসূয় যজ্ঞও করেন। তাছাড়া তিনি অগ্নিষ্টোম,  অতিরাত্র, উকথ্য, বিশ্বজিৎ ও সহস্র বাজপের যজ্ঞও করেন। তিনি দিগ্বিজয়ে বাহির হয়ে কিরাত, ছূণ, পৌন্ড্র, খস, শক এবং অন্যান্য অব্রাহ্মণ নৃপতি ও ম্লেচ্ছ জাতিকে বিনষ্ট করেছিলেন। তার রাজত্বকালে প্রজাকূল সুখ ও শান্তিতে ছিল। তিনি বিদর্ভরাজের তিন কন্যাকে বিবাহ করেন। তাদের গর্ভে ভরতের নয়টি সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু কোন সন্তানেই তার মত না হওয়ায় ভরত খুব চিন্তিত ছিলেন। ভরতের বংশধর রক্ষায় বৃহস্পতির ঔরসজাত পুত্র ভরদ্বাজকে পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন।  এ জন্য ভরদ্বাজের আরেক নাম বিতথ (নিষ্ফল)। তার নয়জন সন্তান ছিল। কোন সন্তানকে তিনি যুবরাজ ঘোষণা করবেন  তা তিনি স্থির করতে পারছিলেন না। অবশেষে মহারাজ ভরত কণ্বমুনির দ্বারস্থ হলেন। মুনিবর এখানে আসার হেতু জিজ্ঞাসা করলে মহারাজ বলেন,” হে মুনিবর!  আপনি জানেন যদিও আমি নয়জন পিতার জনক। কিন্ত কাকে আমি যুবরাজ অভিষিক্ত করব তা নির্ণয় করতে পারছিনা।” এ কথা শুনে মুনিবর বললেন,” পুত্র! তুমি বিশ্বজয়ী চন্দ্রবংশীয় রাজা। তোমার নিজের প্রতি যদি আস্থা না থাকে তবে তুমি কোনদিন ন্যায়  করতে পারবে না। চিন্তামুক্ত হও। তাহলেই আস্থা ফিরে পাবে এবং তোমার প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে যাবে।” মুনিবরের উপদেশামৃত স্মারণ করেই তিনি তার পালিত পুত্র ভরদ্বাজ ভূমন্যু কে যুবরাজ অভিষিক্ত করেন।

বেদ সম্পর্কে সামান্য ধারণা

শ্রীমদ্ভগবতগীতার সম্পূর্ণ শ্লোকের অর্থ

সনাতন ধর্মে কি পশুবলী’র বিধান আছে?

মহাভারতের প্রধান প্রধান চরিত্র